Tuesday, 6 August 2019

Pre active IDM

No need to crack or any license key, its pre activated.
Limk: http://www.mediafire.com/file/n79dh9h5i7n339d/IDM_6.11_Build_07_Pre-Activated.rar/file

Sunday, 21 July 2019

ফেইসবুক একাউন্ট হ্যাক সম্পর্কিত

গত এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্রেন্ডলিসেটর ৪/৫ জনের ফেইসবুক একাউন্ট হ্যাক হতে দেখলাম। এতে উনি যেমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন, তেমনি আমাদের কে ও ফেলেছিলেন (আজেবাজে জিনিস পোস্ট করে তাতে ট্যাগ করে)।

এক সময় এসব বিষয়ে প্রচুর সময় দিয়েছি।সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, কিছু বিষয় এড়িয়ে চললেই সহজে এসব এড়ানো যায়।তার আগে বলে রাখি, এসব হ্যাকিং খুবই কাঁচা হাতের করা, মানে হল যারা মাত্র শিখছে, বা শখের বসে করছে বা বেকার  ছেলেপুলের কিছু ইনকাম করার জন্য করে এসব।
প্রফেশনাল হ্যাকাররা এসব করেনা, তারা তাদের হ্যাকিং কে বলে #ইথিকাল_হ্যাকিং, সেটা অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।

মূল কথায় আসি। ফেইসবুক একাউন্ট হ্যাক করতে যে সহজ টুল/ পদ্ধতি টা ব্যবহার করা হয় তা হল #ফিশিং #Phishing.
এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীকে সহজেই বোকা বানিয়ে তার সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নেয়া হয়।
#যেভাবে_করা_হয়: এই পদ্ধতিতে আপনাকে কোন উত্তেজক  নিউজের লিংক অফার করবে/ আপনার প্রয়োজনীয়/পরিচিত কোন লিঙ্ক অফার করবে, যাতে আপনি ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার সমস্ত তথ্য তাদের কাছে চলে যায়, তারা সেটা সাথে সাথেই চেঞ্জ করে আপনাকে ব্লেক মেইল করে থাকে।

এবার আসি #বাঁচার_উপায় নিয়ে। প্রথম কথা হল, যে লিংক আপনি  চেনেন না তাতে কখনো ক্লিক করবেন না। অনেক সময় চেনা লিঙ্ক ও হতে পারে বাট ভাল করে খেয়াল করলে দেখবেন তাতে #সামান্য_পরিবর্তন অবশ্যই আছে, এসব লিংক এ ক্লিক করবেন না (যেমন: www.facebook.com এর স্থলে www.faceboook.com)।
ফাইনালি, উত্তেজক নিউজ পড়তে মন চাইলে ফেইসবুকে না পড়ে গুগলে সার্চ দিয়ে পড়ুন , কিন্তু #গুগলে_সাইন_ইন করবেন না।
(বি.দ্র: প্রফেশনাল হ্যাকার রা খারাপ না, তারা দেশের অনলাইন ডিফেন্স করে, Personally I salute them).
Thats all. Happy facebooking!👏👏

Thursday, 18 July 2019

ধূসর পাতা

একসময় মধ্যরাতে ডাহুকের ডাকে ঘুম ভেঙে যেত,
অদ্ভুত এক মায়াবী শব্দ,
এখনও ভাঙে,
তবে ডাহুকের ডাকে না,
বাসার সিকিউরিটি র তীক্ষ্ণ বাঁশির শব্দে।
একসময় পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙত,
এখনো ভাঙে,
তবে সেটা মোবাইলের এলার্মে।
একসময় বৃষ্টি আসলেই বৃষ্টিতে ভিজতাম,
এখন বৃষ্টি দেখলেই দৌড়াই,
নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য।
একসময় দিন ছিল ইচ্ছেমত খাওয়া-দাওয়ার,
এখন দিন হচ্ছে হিসেব করে খাওয়ার।
একসময় জীবন মানে ছিল 'নো চিন্তা ডু ফূর্তি',
এখন জীবন মানে দুঃশ্চিন্তায় ভর্তি।😥😥
                         ©আদিল

Wednesday, 17 July 2019

দৌড়ময় জীবন

অনেক কাল আগের কথা। যখন, উনার সাথে দেখা করতে আসতাম কার্জনহল এলাকায়। দেখা-সাক্ষাৎ পর উনি বাসায় চলে যেতেন উনার ভার্সিটির বাসে, আর আমি আমার ক্যাম্পাসের বাস ধরতাম কার্জন হলের পাশ থেকেই (বঙ্গবাজার মোড়)।
লাস্ট মিনিট পর্যন্ত কথা বলতে গিয়ে দেখতাম বাস টা জাস্ট ছেড়ে দিচ্ছে বলে!
সেটা দেখে দ্রুত বিদায় নিয়ে, বাস ধরার জন্য দিতাম দৌড়।
বাসের স্পিড বাড়ে তো আমার স্পিড ও বাড়ে, কিন্তু এক সময় পরাস্ত হতাম। বাস বেশ খানিকটা  এগিয়ে যায় আমার থেকে। দৌড় থামিয়ে হাঁপাতে থাকি।
কিন্তু আবার আশা জাগায়। দেখলাম, সামনের জ্যামে বাসটা আটকে গেসে। ধরার জন্য আবার দিতাম দৌড়। কাছে চলে গিয়েছি, আর মাত্র ১০ হাত! কিন্তু আমাকে হতাশ করে বাস টা জ্যাম থেকে মুক্তি পেয়ে দেয় দৌড়। আমি ও পিছনে পিছনে দৌড়াই। বাস আমায় রেখে চলে যায়। আবার ও হতাশ হলাম। আমি আশা ছেড়ে, ক্লান্ত ও ঘর্মাক্ত হয়ে হাঁপাতে থাকি। যাহোক, চোখ মেলে দেখি বেশ খানিকটা দূরে গিয়ে বাসটা আবার ও জ্যামে আটকে গিয়েছে। এবার আমি শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে দিলাম দৌড়। এবার স্পিড দিলাম আগের থেকে ও বাড়িয়ে। এবার সফল হলাম। সামনের জ্যাম ছুটতে ছুটতে আমি আমার ক্যাম্পাসে র বাসটা ধরে ফেললাম।
প্রশ্ন আসবে, এবার আমি হয়ত লাকি ছিলাম, কারণ সামনের জ্যাম টা হয়ত বেশিক্ষন ছিল।
কিন্তু, এটাও মানতে হবে, আমি যদি আগের মতই দৌড়াতাম/ কিংবা আশা ছেড়ে দিয়ে বলতাম থাক, তাহলে কিন্তু ধরতে পারতাম না কোন মতেই।
যাহোক, আজকে জ্যামে র মধ্যে বসে, দেখলাম এক ছেলে আমার মত করেই জাবির বাসের পিছনে ছুটছে, তখনই নিজের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। তবে এটা থেকে আমি দুইটা শিক্ষা নিয়েছি-

১) কোন কিছুই শেষ মিনিটের জন্য রাখা ঠিক না, সময় করে শেষ ঘন্টার আগেই কাজ কমপ্লিট করতে হবে।
২) হতাশ হতে নেই, আশা ছাড়তে নেই, দম থাকা পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত লড়ে যেতে হবে, সফলতা আসবেই ইনশা আল্লাহ।

Monday, 15 July 2019

পাসপোর্টে_পুলিশ_ভেরিফিকেশন_যুক্তিকতা

আমার চারপাশের লোকদের কাছ থেকে শোনা আর আমার নিজের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, পাসপোর্ট করার সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন একটা গাঁজাখুরি সিস্টেম। একাজে ঘুষ দেননি/ দিতে বাধ্য হননি এমন লোকের সংখ্যা 0%।
এটা একটা ওপেন খোলা টেলিভিশন। সবাই দেখছে, সবাই জানে, আর জনগণ দিয়েই যাচ্ছে।
যাহোক, আমার ঘটনাটা বলি।
মোবাইলে কল দিয়ে বলে, আপনার ভেরিফিকেশনের জন্য  ফোন দিয়েছি, আপনার সব ঠিক আছে।
বললাম, ধন্যবাদ, আমি আসলে খুব সাবধানে করেছি, আর সমস্ত ডকুমেন্ট এডেড, ভুল হবার ও কথা নয়।
উনি তখন মিনিমাম ভদ্রতা কে জলাঞ্জলি দিয়ে বললেন, ওকে আপনি এই নাম্বারে 1000 টাকা বিকাশ করে দেন, তাহলে সব ঠিক থাকবে যেভাবে আপনি করেছেন, না হলে থাকবেনা।
শুনে আকাশ থেকে পড়লাম, এভাবেও ঘুষ চাওয়া যায়? ওরা কি মানুষ না?
খুব করে ঘৃণা , অশ্রদ্ধা জন্মেছিল সেদিন থেকে, যা মনে পড়লে আজও বিরক্ত হই।
তারপর কি আর করা; দিলাম বাধ্য হয়ে।
তবে, আমার প্ৰশ্ন , এমন ওভারফোন ভেরিফিকেশ এর কি আদৌ কোন দরকার আছে!
একজন অপরাধী কে ও কি এভাবে ভেরিফাই করে ছেড়ে দেয়?🤔🤔

দিন বদলের গান

লোকে কথায় কথায় বলে, আগের দিন বাঘে খেয়েছে, আগের দিন আর নাই।
সরকার কথায় কথায় বলে, আমরা এখন আর আগের অবস্থায় নাই, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে, শীঘ্রই উন্নত দেশে পরিণত হবে। দিন যে আসলেই বদলে গেছে, একটু খেয়াল করলেই সেটা বুঝা যায়।
নাস্তা করে, রিক্সার জন্য ওয়েট করছি। পাশের এক দোকান থেকে একজন ভদ্রলোক সিগারেট কিনে, সামনে বসা এক ভিক্ষুক কে ২ টাকার একটা কয়েন দান করে চলে গেল।
উনি চলে যাওয়ার পর, ভিক্ষুক টি খুব রাগত স্বরে আমার কাছে নালিশ করছে-
"দেখছেন ভাই, সিগারেট খেয়ে ২ টাকা বেশি হইছে, তাই সেইটা দিছে। উনারা কি মনে করে আমগ? আগের দিন বাঘে খাইছে। আমরা তোমগ দুই টাকার কাঙ্গাল না। ফকিন্নির মত ভিক্ষা দেয়।"
শুনে আমি টাস্কি খাইলাম।
খালি মৃদু স্বরে বললাম- "হ মামা, আগের দিন আসলেই বাঘে খাইছে।"🤔

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনাল এবং শিক্ষা

সবারই জানা যে, ব্যক্তি স্টোক উগ্র আর উৎশৃঙ্খল, যার কারণে দল থেকে বাদ পড়েছিল, ছিল নিষেধাজ্ঞায়।
আর, কালকে খেলোয়াড় স্টোক কে দেখেন, কি রকম কুল!
চরম প্রেশার এ, বিপর্যয়ের মুহূর্তে খেলতে নেমে, প্রথম দিকে খুব স্লো ব্যাটিং করছিল, যাকে বলে ঠান্ডা মাথায়, দেখে শুনে খেলা।কিন্তু তার শর্ট গুলো দেখেন, কি রকম নিখুঁত ছিল। তার মাথায় যে কুল প্লানিং চলছিল, সেটা তার ফেইস দেখে ও বুঝা যাচ্ছিল। এইভাবেই, স্রোতের বিপরীতে চলতে হয়, এইভাবেই জয় আনতে হয়। সাবাস।👏👏
যাহোক, স্টোকস এর খেলা দেখে, কালকে দুইটা জিনিস উপলব্ধি করেছি-
এক, জটিল সময়ে, শান্ত থাকা, ঠান্ডা মাথায় প্ল্যানিং করা।
দুই, ইমোশনাল ড্রাইভার না হয়ে, প্রফেশনাল হওয়া।